বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০১ পূর্বাহ্ন
নরসিংদীর ঘোড়াশাল ফ্ল্যাগ রেলওয়ে স্টেশন ব্যবহার করে প্রতিদিন শতশত যাত্রী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে যাতায়াত করলেও যাত্রীচাপের তুলনায় খুব বেশি ট্রেন এখানে যাত্রাবিরতি করে না ।
প্রায়ই দেখা যায় বিভিন্ন জায়গা থেকে ছেড়ে আসা ট্রেন ঘোড়াশালে যাত্রা বিরতি করলে যে পরিমাণ যাত্রীচাপের সৃষ্টি হয় তাতে করে ট্রেনের ভেতরে দাঁড়ানোরও জায়গা থাকে না । এরপরও অফিস বা ক্লাসে যেতে হয় কিংবা গুরুত্বপূর্ণ কাজ থাকে এমন যাত্রীরা ট্রেনের ছাদে,গেটে ঝুলে বা দুই বগির মাঝের সংযোগস্হলে দাঁড়িয়ে যায় । যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ।
তাছাড়া অনেকে যাত্রী টিকেট কেনার পরও ভিড়ের কারণে ট্রেনে ওঠতে পারে না । যার দরুন টিকেট কেনার প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে সাধারণ যাত্রীরা । সমস্যাটা সবচেয়ে বেশি হয় নারী,শিশু ও বয়স্ক যাত্রীদের । এমতাবস্থায় ঘোড়াশালবাসীর আশা নরসিংদীর জন্য নতুন ট্রেনের পাশাপাশি ঘোড়াশাল ফ্ল্যাগ স্টেশনে আরো বেশি ট্রেন যাত্রাবিরতি করবে ।
উল্লেখ্য যে, ১৯১০ সালে ঘোড়াশাল রেলওয়ে স্টেশন প্রতিষ্ঠিত হলে পার্শ্ববর্তী কালীগঞ্জ, কাপাসিয়া এবং চরসিন্দুরের লোকজনও নদী পথে ঘোড়াশাল এসে স্টেশনটি ব্যবহার করতো। কিন্তু শীতলক্ষ্যা নদীর পার থেকে স্টেশনটির দূরত্ব ছিল প্রায় দেড় কিলোমিটার । যে কারণে নদীপথে আসা যাত্রীদের জন্য স্টেশনে আসা যাওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে এবং শীতলক্ষ্যা নদীর পারে আরেকটি রেলস্টেশন স্থাপনের দাবি জোড়ালো হতে থাকে । তখন ব্রিটিশ সরকারের কাছে লিখিত আবেদন জানান জমিদার সাজদা মিয়া । তার এ আবেদনের প্রেক্ষিতে ১৯১৪ সালে আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে কোম্পানি ঘোড়াশাল ফ্ল্যাগ রেলওয়ে নামে নির্মাণ করে ঘোড়াশালের দ্বিতীয় এবং দেশের প্রথম দ্বিতল রেলস্টেশন ।